রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন এসআই মহসীন চৌধুরী

কক্সবাজার জার্নাল প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ পুলিশ, যার রয়েছে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। ২৫মার্চ ১৯৭১ এ প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা। বাংলাদেশে পুলিশ নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ অনেক অনুযোগ। কিন্তু এর মাঝেও বৈরি পরিবেশ মোকাবেলা করে যায় বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যবৃন্দ। প্রজাতন্ত্রের নানা অংশের মাঝে পুলিশই নানা ভাবে সরাসরি জনগণের মাঝে কাজ করে। এজন্যই হয়ত পুলিশের উপর মানুষের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।

মানুষের ঘৃণা, অনুযোগ, অভিযোগ সবকিছুকে মাথার একপাশে সরিয়ে রেখে দিন রাত কাজ করে যায় পুলিশের সদস্যবৃন্দ। সব পেশাতেই কিছু দুষ্টলোক থাকে তেমনই ভালো মানুষও আছে অনেক। তেমনই পুলিশের অনেক সদস্য দেশের জন্য সব কিছু ভুলে কাজ করেন, জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না। তাদের জন্যই আমরা নিরাপদ থাকি। বিপদে ছুটে যাই তাদের কাছে।

তেমনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মহসিন চৌধুরী। যিনি ২০০৩ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যিনি অভিযান পরিচালনা করেছেন একাধিকবার। নিজের মেধা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমাধান করেছেন একাধিক মামলার জট।

তার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০১৭ সালে আইজি ব্যাজ, লক্ষীপুর জেলায় ৩৮ বার পুরষ্কার লাভ করেন।

এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চলে আসেন সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে। এখানেও তিনি স্বাক্ষর রাখেন তার বিচক্ষণতার। সততা নিষ্ঠায় তিনি সেখানেও অল্পদিনে ভরসার নাম হয়ে ওঠেন। যার ফল হিসেবে কক্সবাজারে যোগদানের ৩ মাসের মাথায় ২০২২ সালে আবারো পান আইজি ব্যাজ। এছাড়াও কক্সবাজার জেলায় ২৯ মাসে ২৫ বার শ্রেষ্ঠ পুরষ্কারসহ এবার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এবার ঘোষিত হলেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক “প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল” এ। এটি একটি বিরল সম্মাননা। বর্তমানে তিনি জেলার চকরিয়ার হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন।

তার জন্ম চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানাধীন কানাই মাদারী গ্রামে।
৪ বোন ১ ভাইয়ের সংসারে মা-বাবা দুই জনই পৃথিবীতে বেঁচে নেই।

তাঁর এ অর্জন চন্দনাইশবাসীর জন্য গৌরবের। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আইকন। তরুণ প্রজন্ম কে বিপথগামী হতে রক্ষা করতেও তিনি কাজ করেন নীরবে।

এ বিষয়ে এসআই মহসিন চৌধুরী বলেন, আমি সর্ব প্রথমে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। প্রতিটি পুরস্কার মানুষকে ভালো কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়।

তিনি আরও বলেন, আমি নৈতিক আর্দশ ও দেশপ্রেম নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করি। পিপিএম পদক আমাকে আমার পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি বিশ্বাস ও আত্মশক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।